মাফ কইরা দেন ভাই

মাফ কইরা দেন ভাই

মাফ কইরা দেন ভাই 


মনে করেন ভাই সবই কপাল,আমারে দোষ দেন? হোপ।
কি করি কি করি কপাল টা পোরা
আমার নাই রাজপ্রাসাদ নাই আমার ঘোড়া
প্যাচালে পইরা যাই প্রতিবার আমি
ভালো কামে নাই আকামে সেরা,
আমার বাস কই জানিনা
আমার তো মাথা ঠিক থাকেনা
বাসা টা মনে হয় এই দিকে না না
বাসা মনে হয় টা এই দিকে
কি জানি কইতাছিলাম ভাই
কি জানি কইতাছিলাম?
আমার তো মাথা ঠিক থাকেনা
মাফ কইরা দেন ভাই।

মনে করেন আমি গেছিলাম ঠিক আছে?
বড় ভায়ের লগে বইছিলাম ঠিক আছে?
ভাই কইলো কিছুই হইবো না ঠিক আছে?
মনে করেন আমি বুঝিনা ঠিক আছে?
মিছা কথা কয়া লাব আছে? মিছা কথা কইয়া লাব নাই
মাটির উপরে খারায়া কইতাছি ভাই
কইলে তো কইবেন কয়া লাইছি ভাই
ওয়েট, কি জানি কইতাছিলাম ভাই? কি জানি কইতাছিলাম?
আমার তো মাথা ঠিক থাকেনা
মাফ কইরা দেন ভাই
মাফ কইরা দেন
 বিভিন্ন ইউনিটে নির্বাচিত ছাত্র/ছাত্রীদের সাক্ষাতকার/মৌখিক/ব্যবহারিক পরীক্ষার সময়সূচি

বিভিন্ন ইউনিটে নির্বাচিত ছাত্র/ছাত্রীদের সাক্ষাতকার/মৌখিক/ব্যবহারিক পরীক্ষার সময়সূচি



বিভিন্ন ইউনিটে নির্বাচিত ছাত্র/ছাত্রীদের সাক্ষাতকার/মৌখিক/ব্যবহারিক পরীক্ষার সময়সূচি


open ju folder you get the google drive link then see

viva date download all unit
জুনাইদের গল্পটা !!!!

জুনাইদের গল্পটা !!!!

মো. জুনাইদের কাছে ‘মা’ ও ‘বাবা’ সবচেয়ে কঠিন দুই শব্দ। তাঁর বয়স যে ঠিক কত, তা আমরা জানি না, জুনাইদ নিজেও জানেন না। না-জানা বয়সী এ জীবনে কখনো কাউকে মা-বাবা বলে ডাকার সৌভাগ্য তাঁর হয়নি। বোধবুদ্ধি হওয়ার পর নিজেকে আবিষ্কার করেছিলেন কক্সবাজারের ঝাউতলায়। জুনাইদকে হয়তো পথেই পেয়েছিলেন নাজিরাটেকের নিঃসঙ্গ বৃদ্ধ সাহারা খাতুন। শুঁটকির আড়তে কাজ করতেন তিনি, শীতকালে পিঠা বেচতেন। জুনাইদের বয়স যখন পাঁচ-ছয়, তখন সাহারাও চিরবিদায় নিলেন। যার হারানোর কিছুই ছিল না, সে–ও একদিন একজনকে হারিয়ে ফেলল! সঙ্গে হারাল মাথাগোঁজার ঠাঁইটুকুও। জুনাইদ ফিরে গেল তাঁর পুরোনো ঠিকানায়—পথে। সাহারা খাতুনকে নানি ডাকত জুনাইদ। তাঁর আশ্রয়ে থাকার সময় লাকড়ি জোগাড় করা, শুঁটকি শুকানোর মতো কাজ করেছিল সে। পথে নেমে শুরু করল কাগজ টোকাতে। ঘুমাত খোলা আকাশের নিচে—মাটিতে। কপাল খুব ভালো থাকলে কোনো ছাউনির নিচে—মেঝেতে। খাবার বলতে ছিল উচ্ছিষ্ট। বিশেষ করে সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে যাওয়া মানুষের ফেলে দেওয়া খাবার। এভাবে বছর দু-এক কেটে গেলে জুনাইদ একটি চায়ের দোকানে কাজ পেল। ছোট্ট জীবনে সেটিই ছিল বড় প্রাপ্তি। কারণ, চালচুলো নেই বললেই লোকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিত। কাজ দিলে সব নিয়ে যদি ভেগে যায়, তখন কোথায় পাবে তাকে। তবে জুনাইদ সাড়ে তিন বছরে একাধিক দোকানে কাজ করল নিষ্ঠার সঙ্গে। কারও কাছে হাত পাতল না, কারও কিছু চুরিও করল না। তারপরও মানুষ তাঁকে উঠতে-বসতে গালাগাল দিত কিংবা মারপিট করত! জুনাইদ ভেবেছিল, এটাই বুঝি নিয়ম। সমুদ্র ও সিনেমা ওই নিয়মে নিজেকে আর মানিয়ে নিতে পারছিল না জুনাইদ। ২০১০-১১ সালে গেল টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নে। এক জেলে পরিবারের সঙ্গে চুক্তি হলো। সমুদ্রে মাছ ধরতে যাবে, মাছ ধরার কাজ না থাকলে পাহাড় থেকে লাকড়ি এনে দেবে; বিনিময়ে থাকা-খাওয়া। খুশি মনে রাজি হলো সে। রাত জেগে নৌকা বেয়ে যায় সমুদ্রে, জাল পেতে মাছ ধরে। মাঝেমধ্যে পাহাড়ে যায়, লাকড়ি জোগাড় করে এনে হাটে বেচে টাকা বুঝিয়ে দেয়। আর সুযোগ পেলেই বাজারের চায়ের দোকানের বাঁশের বেড়ার ফুটোয় চোখ রাখে। সিনেমা দেখার বেজায় নেশা ধরে গেছে তত দিনে। বাংলা-হিন্দি-ইংরেজি—সব সিনেমাই গোগ্রাসে গেলে সে। তবে নিয়ম হলো, পয়সা দিয়ে চা-নাশতা খেতে বসলেই কেবল সিনেমার অদৃশ্য টিকিট মিলবে। তাই দোকানিরা বেড়ার ফুটোতে চোখ দেখলেই ‘পানি মারতেন’, ধাওয়া করতেন। এত কিছুর মধ্যেও আমির খানের থ্রি ইডিয়টস দেখে ফেলল জুনাইদ। তাঁর কথায়, ‘এই সিনেমাটা দেখে পড়াশোনার খুব আগ্রহ হলো। আর কক্সবাজারের বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রছাত্রীদের দেখলেই মনে হতো, ইশ্, আমিও যদি পড়তে পারতাম! মনে হতো, কেউ যদি বলত, তুই সারা দিন টয়লেট পরিষ্কার করার বিনিময়ে স্কুলে পড়তে পারবি, তার পরও আমি তা-ই করব।’ ওই ইচ্ছের সলতেটা আরও উসকে দিয়ে গেল সমুদ্রের এক বন্ধু, যার নাম জুবায়ের। বয়সে সে জুনাইদের ছোটই ছিল, পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে বিরতি নিয়েছিল। সমুদ্রে মাছ ধরতে যেত জুনাইদের মতোই। হঠাৎ একদিন সে বলল, আর মাছ ধরতে আসবে না, আবার স্কুলে যাবে। জুনাইদ বলল, ‘আমিও তো স্কুলে যাইতে চাই। তুই একটা ব্যবস্থা করবি আমার জন্য?’ জুবায়ের দিল জাহাঙ্গীর স্যারের ঠিকানা। বলল, ‘জাহাঙ্গীর স্যার ভালো মানুষ। তাঁর কাছে গিয়া বুঝায়া বললে ব্যবস্থা হবে।’ মৌসুনী দ্বীপে জাহাঙ্গীর স্যার ঠিকই ব্যবস্থা করলেন। যে ছেলের বর্ণপরিচয় নেই, তার ওপর আস্থা রাখলেন। নুরুল আমিন নামের আরেক ছাত্রের কাছে পাঠালেন জুনাইদকে। এর মধ্যে জুনাইদ অনেক কষ্টে জমানো ১০ টাকা দিয়ে কিনল ‘বাংলা শিক্ষা’ ও ‘মাই স্পেলিং বুক’। বই কেনার তারিখটাও ঠিক মনে রেখেছেন জুনাইদ—২০১১ সালের ৭ অক্টোবর! সে সময় রাত জেগে মাছ ধরতেন, সুযোগ পেলেই কুপির আলোতে নৌকায় খুলে বসতেন বই দুটি। দিনেও ঘুমাতেন না, বই খুলে বসতেন। জুনাইদ বলছিলেন, ‘কেউ বিশ্বাস করে না, কিন্তু আমি ১০ দিনে দুটি বই-ই পড়ে শেষ করলাম। এক শটার মতো ইংরেজি শব্দও শিখে ফেললাম। আর মাঝেমধ্যে জাহাঙ্গীর স্যার যেখানে প্রাইভেট পড়াতেন সেখানে যেতাম। পাশে দাঁড়িয়ে থেকেই ৪৫ ডিগ্রি কোণ আঁকাও শিখে ফেললাম। তারপর একদিন স্যারকে বললাম, স্যার, আমিও পরীক্ষা দেব। স্যার রাজি হলেন। প্রাইভেটের ওই পরীক্ষায় আমি দ্বিতীয় হলাম।’ জাহাঙ্গীর স্যার বিস্মিত হয়েছিলেন কি না, জানা নেই। হয়েছিলেন নিশ্চয়ই। তাই হয়তো তিনি জুনাইদকে স্কুলে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিলেন। কিন্তু ওই জেলে পরিবার ভীষণ বেঁকে বসল। জুনাইদ নৌকায় একটা পড়ার টেবিলের মতো বানিয়ে নিয়েছিলেন, সেটাও লাথি মেরে পানিতে ফেলে দিল। বলল, ‘শখ কত!’ লোকে হাসাহাসি করতে লাগল। কেউ কেউ জিজ্ঞেস করল, ‘পড়াশোনা করে তুই কী হবি?’ কিশোর জুনাইদ বলল, ‘ইঞ্জিনিয়ার হব।’ ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে মাছ ধরার কাজে বিরতি দিল জুনাইদ। কাঠমিস্ত্রির কাজ করে জোগাড় করল ১ হাজার ৬০০ টাকা। ওই টাকা, জাহাঙ্গীর স্যারের সুপারিশ আর বুকভরা সাহস নিয়ে সে গেল টেকনাফের মৌসুনী দ্বীপের ল্যাদা জুনিয়র হাইস্কুলে। অনেক অনুনয়ের পর, ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জুনাইদ এক লাফে ভর্তি হলো অষ্টম শ্রেণিতে। নিজের টাকায় বই, স্কুলের পোশাক কিনল। কিন্তু খেয়ে-পরে বাঁচতে তো হবে। তাই আবারও গেল মাছ ধরতে। সারা রাত মাছ ধরে কোনোরকমে স্কুল ড্রেস পরে, বই-খাতা বগলদাবা করে ছুটে যেতে লাগল স্কুলের অ্যাসেম্বলিতে। আর বাকি ছাত্রছাত্রীরাও তাকে দেখে জায়গা করে দিতে লাগল তড়িৎগতিতে। জুনাইদ বলছিলেন, ‘গোসল না করেই স্কুলে যেতাম আমি, ফলে শরীরে মাছের ভয়ানক গন্ধ লেগে থাকত। সে কারণেই ওরা জায়গা করে দিত।’ এই করে করেই জুনাইদ একদিন জেএসসি পরীক্ষায় পেলেন জিপিএ-৫! দ্বিতীয় জীবন নবম শ্রেণিতে পা রাখার আগে ইটভাটায় কাজ নিল জুনাইদ। কাঠমিস্ত্রির কাজও করল। তিন হাজার টাকা জোগাড় হওয়ার পর গেল টেকনাফের হ্নীলা হাইস্কুলে। ভর্তি হল সেখানে। প্রধান শিক্ষক তাঁর ভাইয়ের বাসায় জায়গির হিসেবে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিলেন। ছোট দুটি শিশুকে পড়াতে হতো। কিন্তু ছয় মাসের বেশি সেখানে টেকা গেল না। এসএসসি পরীক্ষার আগ দিয়ে স্কুলেরই হোস্টেলে ওঠার সুযোগ হলো। কিন্তু সকালে নৌকা থেকে ফিরে সময়মতো অ্যাসেম্বলি ধরতে না পারায় শিক্ষকেরা চেপে ধরলেন, ‘সমস্যা কী তোর? হোস্টেলে থেকেও স্কুলে আসতে দেরি কেন?’ জুনাইদ তত দিনেও শিক্ষকদের কাছে তার মা-বাবার কথা বলেনি। একই কাজ সে করেছিল আগের স্কুলেও। কারণ, মা-বাবার পরিচয় নেই, এমন কোনো ছেলেকে কেউ সুনজরে দেখে না। জুনাইদ বাধ্য হলো সব খুলে বলতে। এবং তার পর থেকে কোনো কোনো শিক্ষক সুযোগ পেলেই তাকে বিষয়টি মনে করিয়ে দিতেন! তবে জুনাইদের কথা, ‘ভালো শিক্ষকের সংখ্যাই বেশি। তাঁরা না থাকলে তো আমি এতটুকু পথ আসতে পারতাম না। স্কুলের বেতন, পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন ফি—সবই তাঁরা দিয়েছেন। এভাবেই আমি এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৪.৮৩ পেলাম।’ এরপর জুনাইদ ভর্তি হন উখিয়া ডিগ্রি কলেজে। কলেজে পড়ার টাকা জোগাড় করতে শুরু করলেন রাজমিস্ত্রির কাজ। ফলে ক্লাস শুরু হওয়ার এক মাস পর কলেজে যাওয়ার সুযোগ হলো। আবারও জায়গির থাকলেন। কলেজ বেতন মওকুফ করে দিল। টিউশন শুরু করলেন। নিজে কিন্তু কখনো কারও কাছে প্রাইভেট পড়েননি। তারপর একদিন বন্ধুদের মেসে উঠলেন জুনাইদ। থাকা-খাওয়া ফ্রি, শুধু বন্ধুদের পড়াশোনায় সহযোগিতা করতে হতো। তারিখটা ঠিক মনে রেখেছেন জুনাইদ—২০১৭ সালের ৩০ মার্চ। দুদিন পর এইচএসসি পরীক্ষা। ঠিক করলেন, স্কুলের শিক্ষকদের কাছ থেকে দোয়া নিয়ে আসবেন। উঠে বসলেন অটোরিকশায়। খানিক বাদেই ভয়াবহ এক দুর্ঘটনা ঘটে গেল। ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন চার যাত্রীর দুজন। জুনাইদের অবস্থাও সাংঘাতিক। পেট ফুঁড়ে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বেরিয়ে গেছে। চোখ আর মাথায় কঠিন আঘাত। শরীরের অধিকাংশ হাড়ই ভেঙে গেছে। বন্ধুরা ছুটে এলেন। অ্যাম্বুলেন্সে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়ার পথে চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিলেন, জুনাইদ আর নেই, হৃদ্যন্ত্র থেমে গেছে। উখিয়ায় ফিরে আসছিল অ্যাম্বুলেন্সটি। কিছু দূর যাওয়ার পর জুনাইদের হৃৎপিণ্ড জানান দিল, এখনো থামিনি! মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন জুনাইদ। পরীক্ষা দেওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। প্রায় এক বছর চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতাল ও কুতুপালংয়ের এক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকার পর নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারলেন তিনি। মাঝে তো শুনেছিলেন, জীবনে আর চোখ মেলে তাকাতে পারবেন না, পা দুটিও চলবে না। জুনাইদের ভাষায়, ‘বন্ধুবান্ধব, কলেজের শিক্ষকেরা না থাকলে কী হতো, জানি না! অবিশ্বাস্যভাবে ফিরে এসেছি আমি। হয়তো আমার স্বপ্ন পূরণের জন্যই ওপরওয়ালা আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।’ জুনাইদের স্বপ্ন এক বছর পর, ২০১৮ সালে আবার এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বসেন জুনাইদ। তাঁর ভাষায়, ‘যে সময় সবাই মা-বাবার আদরে পড়াশোনা করে, সে সময় আমি অসুস্থ শরীরে ইট ভেঙে খাবার জোগাড় করেছি, ভাঙা পা ড্রেসিং করে পরীক্ষা দিয়েছি।’ এত কিছু করে জুনাইদ এইচএসসিতে জিপিএ-৪.৫০ পেয়েছেন। বন্ধুবান্ধব, শিক্ষকদের সহযোগিতায় পরীক্ষা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। সুযোগ পেয়েছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু শেষমেশ বেছে নিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিষয়টি। ফোনের ওপাশে কাঁদছিলেন জুনাইদ। জিজ্ঞেস করলাম, ‘আপনার জীবনের সবচেয়ে সুখের স্মৃতি কী?’ জুনাইদ খানিকক্ষণ সময় নিয়ে বললেন, ‘অ্যাকসিডেন্টের পর যেদিন চোখ মেলে তাকাতে পারলাম, সে স্মৃতিটা খুব আনন্দের। আর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সুযোগ পাওয়ার স্মৃতিটাও। ওই যে ছোটবেলায় সমুদ্রে নৌকায় একজনকে বলেছিলাম না, ইঞ্জিনিয়ার হব, সে কথা মনে পড়ছিল তখন!’ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টারে প্রথম হয়েছেন জুনাইদ। শিক্ষক ও বন্ধুদের সহযোগিতায় দারুণ আপ্লুত এখন তিনি। পে ইট ফরওয়ার্ড বাংলাদেশ নামে এক সংগঠন বৃত্তির ব্যবস্থাও করে দিয়েছে। তাঁর এখন একটাই স্বপ্ন, প্রকৌশলী হবেন। মমতা কিংবা টাকার অভাবে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করবেন। জুনাইদ বলছিলেন, ‘আপনারা তো ফোন পেলে বিরক্ত হন, কিন্তু আমাকে হঠাৎ কেউ ফোন করলে কী যে ভালো লাগে বোঝাতে পারব না! আমার কলেজের এক শিক্ষিকা মাঝেমধ্যে ফোন করে জিজ্ঞেস করেন, “রাতে কী খেয়েছ? ” তখন আমার চোখে পানি এসে যায়। আমার এখন স্থায়ী ঠিকানা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল। আমার জীবনে কষ্টের শেষ নেই, কিন্তু মানুষের কষ্ট আমি সহ্য করতে পারি না। মানুষের সব কষ্ট আমি দূর করতে চাই।’ জুনাইদের গল্পটা সিনেমার গল্পকেও হার মানায়, তাই না?
জামালপুর

জামালপুর

জামালপুরে ফেরীতে পার হতো ট্রেন, বাংলাদেশে একসময় ঢাকার সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিলো খুবই নাজুক। এমন সংকটময় সময় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে চালু করা হয় বাংলাদেশের প্রথম রেলওয়ে ফেরী। ১৯৩৮ সালে এই রেলওয়ে ফেরী চালু হয়। এর নামকরণ করা হয় বাহাদুরাবাদ রেল ফেরী ঘাট। আলোচিত ও ঐতিহ্যবাহী বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের নাম ছড়িয়ে পড়ে দেশে ও বিদেশে। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় এই ইউনিয়নটির অবস্থান। বলা যায়, বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিচিত এলাকাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বাহাদুরাবাদ। শুধুমাত্র দেশেই নয়, একসময় এর পরিচিতি ছিলো বিশ্বজুড়েই। বাহাদুরাবাদের বিশ্বখ্যাতি এনে দিয়েছিলো সেখানকার ফেরী ঘাট। বাহাদুরাবাদ ফেরী ঘাট। একসময় বাংলাদেশের মাত্র চারটি নৌ থানার মধ্যে এবং মাত্র দুটি রেলওয়ে ফেরী ঘাটের মধ্যে একটি ছিলো এই বাহাদুরাবাদ। ঐতিহ্যবাহী এই বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের অজানা বিষয় সম্পর্কে জেনে নিন- এক সময় বাহাদুরাবাদ ছিলো একটি কোলাহোলপূর্ণ ব্যস্ত লোকালয়। সমৃদ্ধ এই অঞ্চলটি নদী ভাঙন ও নানা কারণে হারিয়েছে তার গৌরবজ্জ্বল সময়। ১৯৩৮ সালে ব্রিটিশ সরকার ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের লক্ষ্যে চালু করেছিলেন বাহাদুরাবাদ রেল ফেরী। তখন এ পাড়ে ছিলো বাহাদুরাবাদ ঘাট অন্য পাড়ে গাইবান্ধার তিস্তা পাড় ঘাট। ১৯৩৮ সালে ঢাকার সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলায় তিস্তামুখ ঘাট ও জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাটে যমুনা নদীতে রেল ফেরীর সার্ভিস চালু করা হয়। তৎকালীন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর রংপুর জেলার গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, পঞ্চগর ও ঠাকুরগাঁও জেলাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে যাত্রী ও মালামাল পারাপারের জন্য যোগাযোগ গড়ে তুলতেই এ ফেরী সার্ভিসটি চালু করা হয়। এরপর থেকেই এ ঘাট দিয়ে স্বল্প ব্যয়ে অল্প সময়ে যাত্রী পারাপার, কৃষি পণ্য, ডিজেল, সার সরবরাহসহ নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহন করা হতো। ১৯৯০ সালের পর যমুনা নদীর নাব্যতা সঙ্কটের কারণে ফেরী সার্ভিসটি তিস্তামুখ ঘাট থেকে বালাসী ঘাটে স্থানান্তর করা হয়। বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের আগে দিনাজপুর থেকে রংপুর হয়ে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাট পর্যন্ত ট্রেনে যাতায়াত করত এতদাঞ্চলের মানুষ। এছাড়াও সান্তাহার, বগুড়া, বোনারপাড়া হয়েও ট্রেনে এ ঘাট দিয়ে মানুষ চলাচল করত। তবে বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর পর থেকে যাত্রীবাহী লোকাল, মেইল ট্রেন ও আন্তঃনগর একতা, তিস্তা, করতোয়া ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে কিছুদিন মালবাহী ওয়াগন চলাচল করলেও ওয়াগন ফেরী বন্ধ থাকায় তা নিয়মিত চলাচল করে না। বছরের অধিকাংশ সময়ই ওয়াগন ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। তবে নৌ পরিবর্তিত নৌ চ্যানেলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রেলওয়ে ফেরী ঘাটেরও স্থান পরিবর্তন শুরু হয়। উত্তরাঞ্চলের এই ঘাটটি তিস্তামুখ, ফুলছড়ি, অবশেষে বালাসী ঘাট নামে রেলওয়ে ফেরীঘাট হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৮৮ এর ঐতিহাসিক বন্যায় বালাসী ও বাহাদুরাবাদ দু’টি ঘাটেরই মূল নকশা বদলে যায়। নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে বারবার ঘাটের অবকাঠামো পরিবর্তন ও এর ব্যয়ভার রেলওয়ের বার্ষিক বাজেটের ওপরেও প্রভাব ফেলে। এর অনেক পরে ১৯৯০ সালের দিকে যমুনা নদীর নাব্যতা কমে এলে ওপাড়ের ঘাটের নতুন ঠিকানা হয় গাইবান্ধার বালাসীতে। এই দুই ঘাটেই ভীড়তো বড় বড় জাহাজ, লঞ্চ, স্টিমার সহ নানা নৌযান। এই ঘাট বা নৌ বন্দরের মাধ্যমে পরিবহন চালু ছিলো দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশেও। এই রেলওয়ে ফেরী সার্ভিসটি যাত্রা শুরু করেছিলো আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের অধীনে। ফেরীর লাইনের সংখ্যা ১৩টি এবং একেকটি লাইনে ৩টি করে বগি বা ওয়াগন নেয়া যায়। ১৯৮৯ হতে ২০০৪ পর্যন্ত স্থায়ীভাবে বালাসী বাহাদুরাবাদ ঘাটের মধ্যে রেলওয়ে ফেরী পারাপারে অনন্য ছিলো। এর মাধ্যমে তিস্তা ও একতা এক্সপ্রেস ট্রেন দু’টি যমুনার উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-পশ্চিম তীরের রাজশাহী, রংপুর বিভাগের যাত্রাপথে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। এছাড়াও পূর্ব তীরের সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের একমাত্র সহজ ও স্বল্পব্যয়ী রেলওয়ের যাতায়াত রুটে পরিণত হয়। তবে যমুনা ও তিস্তা নদীর নাব্যতা এতটাই নীচে নামত যে, নদী পথে মাত্র ৪ মাস ফেরী চলাচল করা সম্ভব হয়। স্থানীয় বড় সর মহাজনী নৌকাগুলোও চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এই ফেরী ঘাট দিয়ে একতা ও তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনে প্রতিদিন উত্তরাঞ্চল হতে হাজার হাজার মানুষ রাজধানী ঢাকার সঙ্গে চলাচল করতো। গ্রীষ্মকালে নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় চলাচলকারী স্টিমার ও ফেরীগুলো চোরাবালিতে মাঝ নদীতে আটকা পড়তে থাকে। বালাসী ঘাটে পানির নাব্যতা একেবারেই কমে যাওয়ায় ঢাকা ও দিনাজপুরগামী ট্রেনের যাত্রীরা নৌকা দিয়ে পারাপার শুরু করে। শুকনো মৌসুমে এই নৌকা পারাপার একটি বিপজ্জনক ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। পরে বঙ্গবন্ধু সেতুতে রেলপথ বসানোর কাজ শেষ হওয়ায় ১৪ জুলাই ২০০৫ সালে। রেলওয়ে বিভাগ বালাসী বাহাদুরাবাদ রেলওয়ে ফেরী পারাপার বন্ধ করে। তার পরিবর্তে যমুনা সেতুর উপর দিয়ে রেল চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে উত্তারাঞ্চলের জেলা গুলোর সঙ্গে সিলেট ও বৃহত্তর ময়মনসিংহের দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। তখন এই রেল পথে চলাচল করার একমাত্র গন্তব্য ছিলো বাহাদুরাবাদ ঘাট। আর অভাবনীয় বিষয়টি হলো বাহাদুরাবাদ এক্সপ্রেস নামে একটি মাত্র ট্রেনই ছিলো। আর তা চট্টগ্রাম থেকে বাহাদুরাবাদ ঘাট ও রাজশাহী থেকে বাহাদুরাবাদ ঘাট পর্যন্ত যাত্রী আনা নেয়া করত। কালক্রমে নদী ভাঙনের ফলে বাহাদুরাবাদ ঘাট আজ সেই ইউনিয়ন থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে। ঐতিহাসিক সময়ের স্মৃতি ধারন করে বাহাদুরাবাদ ঘাট রয়েছে ঠিকই। তবে অতীতের সেই জৌলুস এখন আর নেই। প্রায় ১৫ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে বাহাদুরাবাদ ফেরী ঘাট। একটি সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালে যমুনা সেতু চালুর পর যমুনা নদীর ভাঙ্গন ও নাব্য হ্রাসের অজুহাতে গাইবান্ধার বালাসীঘাট এবং জামালপুরের বাহাদুরাবাদ ঘাটের মধ্যে রেলওয়ে ফেরী সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হয়। এ ফেরী সার্ভিসটি বন্ধ থাকায় রাজধানী ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলের ১৩ জেলার পণ্য সরবরাহ এবং যাত্রী পারাপারে বহু সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি বালাসী ও বাহাদুরাবাদঘাটকে কেন্দ্র করে উপার্জনশীল কুলি, শ্রমিক, হোটেল ব্যবসায়ী, কর্মচারীসহ অসংখ্য মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। বাহাদুরাবাদ অঞ্চলে ঠিক কত সালে লোকালয় গড়ে ওঠেছিলো ইতিহাসে তার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ধারনা করা যায়, বাহাদুরাবাদের ইতিহাস কয়েকশ বছরের পুরনো। ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের সময় বিদ্রোহীর প্রতি সংহতি জানিয়ে শেষ বিদ্রোহী নেতা সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের নামানুসারে এই এলাকার নামকরণ করা হয় বাহাদুরাবাদ। যে নামটি বহাল রয়েছে প্রায় ১৫০ বছর ধরে।
html & css border,padding,margin.

html & css border,padding,margin.

Explanation of the different parts: Content - The content of the box, where text and images appear Padding - Clears an area around the content. The padding is transparent Border - A border that goes around the padding and content Margin - Clears an area outside the border. The margin is transparent
সেন্টমার্টিনে যাওয়ার সেন্টমার্টিনগামী পর্যটন জাহাজের ভাড়ার তালিকাঃ

সেন্টমার্টিনে যাওয়ার সেন্টমার্টিনগামী পর্যটন জাহাজের ভাড়ার তালিকাঃ

সেন্টমার্টিনে যাওয়ার সেন্টমার্টিনগামী পর্যটন জাহাজের ভাড়ার তালিকাঃ আটলান্টিক ক্রজ বর্তমানে এই সেন্টমার্টিন রুটে সবথেকে জনপ্রিয় (এসি/ননএসি) এবং এই রুটের সবচেয়ে বড়ো শিপ। টিকেট মূল্য:- > ইকোনমি ডেক: ৭৫০/- > ওপেন ডেক: ৮৫০/- > রয়েল লাউঞ্জ: ১০৫০/- (এসি) > লাক্সারি লাউঞ্জ: ১৩৫০/-(এসি) কেয়ারি ক্রুজ এন্ড ডাইন (শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত)== সম্পূর্ণ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত, শিপের ভেতরে ডাইনিং এর ব্যবস্থা আছে। টিকেট মূল্য:- > মেইন ডেক এক্সক্লুসিভ লাউঞ্জ: ১,০০০ টাকা > আপার ডেক কোরাল লাউঞ্জ: ১,০০০ টাকা > আপার ডেক পার্ল লাউঞ্জ: ১,৪০০ টাকা কেয়ারি সিন্দাবাদ ননএসি; রুটের সবচেয়ে পুরনো শিপ এবং জনপ্রিয় শিপও বলা যেতে পারে একে। টিকেট মূল্য:- > মেইন ডেক: ৬৫০ টাকা। > ওপেন ডেক: ৮০০ টাকা। > ব্রিজ ডেক: ৯০০ টাকা। এম ভি বে ক্রুজ-১ সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত; এই রুটের ও দ্রুতগতির শিপ। টিকেট মূল্য:- > রজনীগন্ধা: ১৩০০/- > হাসনাহেনা: ১৪০০/- > কৃষ্ণচূড়া: ১৬০০/- এম ভি ফারহান ননএসি শিপ এবং দ্রুতগতির শিপ। টিকেট মূল্য:- > মেইন ডেক: ৬৫০ টাকা। > ওপেন ডেক: ৮৫০ টাকা। > ব্রিজ ডেক: ৯০০ টাকা।
হ্যাঁ আমি !সেদিন হলের ছাদে উঠলাম

হ্যাঁ আমি !সেদিন হলের ছাদে উঠলাম

ড্রপ খাওয়ার আগ পর্যন্ত বুঝতে পারি নাই এইটার যন্ত্রনা আসলে কি । আমি সাবেক চবিয়ান । খুব বেশিদন হয়নি চবি ছেড়েছি । যখন ড্রপ খেয়েছিলাম তখন আস্তে আস্তে চেনা জগতটা অচেনা হয়ে গেলো । আমার কোন বন্ধুকে পাই নি ওই সময়টায় আমার পাশে ছিল । ক্লাসে নিত্যদিন অপমান ছিল স্বাভাবিক ব্যাপার । আস্তে আস্তে ক্লাসে যাওয়া বাদ দিলাম । ছেলেরা নাকি কোন কিছুতেই কাঁদে না । কিন্তু আমি কেঁদেছিলাম । অনেক চেষ্টা করেও ওই সময়টা নিজেকে আর ট্র্যাকে আনতে পারি নি । আমি চেষ্টা করেছি । লাভ হয়নি । নিজেকে আস্তে আস্তে গুটিয়ে নিলাম । সব থেকে খারাপ লাগলো ওইদিন যেদিন আমার এক ম্যাডাম বললেন , কতোদিন ক্যাম্পাসে থাকবা ? লজ্জা করে না ? তোমার জায়গায় আমি হলে আত্মহত্যা করতাম !! ওইদিন হলে ফিরে এসে ভাবলাম , আমার কি সুইসাইড করা উচিত ? সুইসাইড করা উচিত কিনা সেটার উত্তর পেলাম পরের দিন । আমার এক স্যার কথায় কথায় বলে বসলেন , টাকা কামাই করবে কবে ? আদৌ চাকুরী করতে পারবা ? বুঝলাম আমার মতো ছেলেদের সুইসাইড করাই উত্তম । অনেক সাহস নিয়া সেদিন হলের ছাদে উঠলাম । রাত বাজে ২ টা । আমি মরে গেলে কেউ দেখবেও না । হয়তো দয়া করে কেউ ""মেধাবী "" শব্দটা ইউজ করতে পারে । মনে অনেক চাপ । পরশুদিন আবার ৩ ক্রেডিটের এক্সাম । এক্সাম দেয়ার মতো অবস্থা নাই । সুইসাইড করতে পারলাম না । সেদিন রাত ৩ টায় রুমে ফিরলাম । ঘুমাতে পারলাম না সারারাত । কোন রকমে এক্সাম দিলাম । এক্সাম হলেও স্যারদের কটাক্ষ ছিল আমার নিত্য সঙ্গী । ততোদিনে আমি নষ্ট হয়ে গেছি । এরপরেও বিপর্যয়ের মুখে এক্সাম গুলো দিয়ে গেলাম । সব মনোবল এক করে পড়াশুনা করতে লাগলাম । জানি আমার পেছনে কেউ নাই । একা শুধুই একা নিজের রাস্তা চলেছি আমি । রাত জেগে সিভি বানাইতাম । আমি জানি কোন স্যার আমাকে রিকমেন্ড করবে না । আমি জানি সুইসাইড করলে কেউ আমার দিকে ফিরেও তাকাবে না । পুরো মাস্টার্সে আমি শুধু নিজের পড়াশুনা আর সিভির পেছনেই টাইম দিলাম । প্রতিদিন মনে হতো মরে যাবো । তারপরেও যেন কিভাবে বেঁচে রইলাম । যাই হোক এতো ইমো খাওয়ার দরকার নাই । আগে ইমো খাইতাম । এখন আর খাই না । এখন আমি জব করছি । স্পিডের নাম শুনেছেন ? কিংবা মজো অথবা ক্লেমনের নাম ? ফ্রুটিকার নাম শুনেছেন ? আমি সেই ফ্যাক্টরিতে এক্সিকিউটিভ হিসাবে চাকুরী করি । এইটা ছিল আমার থার্ড ইন্টারভিউ । এখানে মেধা তালিকায় প্রথম হয়ে আমি জব নিয়েছি । ভালো বেতন দেয় । আপনার হাতের যে স্পীডের ক্যানটা ঘুরছে অথবা ফ্রুটিকা খাচ্ছেন সেটা আমার সাইন ছাড়া বাজারে যায় না । প্রথম সাইনটা আমি করি । প্রোডাক্ট ঠিকাছে কিনা সেটা আমি জাজ করি । আমার যে ম্যাডাম আমাকে সুইসাইড করার খোচা দিয়েছিলেন তাকে আমি উপহার স্বরূপ এক কাটন জুস পাঠিয়ে দিয়েছি । আর আমার যে স্যার আমাকে ইনকাম করার খোঁচা মেরেছিলেন তাকে আমি ইনটেক ৪৮ টা স্পীডের ক্যান পাঠিয়ে দিয়েছি । জীবনটা সুইসাডের জন্য নয় । দোয়া রাখবেন যেন আরো ভালো জায়গায় যেতে পারি । ড্রপ খাওয়া মানেই সব শেষ নয় । কালেক্টেড
Top 10 private university in bangladesh

Top 10 private university in bangladesh

North south university(NSU)
Brac University(BRACU)
East west university(EWU)
Independent university(IUB)
ahsanullah university of science and technology(aust)
y(DIU)
united international university(UIU)
university of liberal arts bangladesh(ULAB)
the university of asia pacific(UAP)
American International University-Bangladesh (AIUB)
International University Of Business Agriculture & Technology
মেসে থাকি তো

মেসে থাকি তো

সম্প্রতি পুলিশের এসআই নিয়োগ পরীক্ষা চলছে। একটি ছেলে কাগজপত্র সত্যায়ন করতে আসে। নিজের রুমে বসে আছি, হাত মুখ ধুয়ে মাত্র দুপুরের খাবারের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এমন সময় সে এসে হাজির। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কাচুমাচু করছিল, ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দিলাম।
প্রথম ধাক্কায় মনে হল, ছেলে নেশাআসক্ত নয়ত শারীরিকভাবে অসুস্থ। কাগজপত্র এগিয়ে দিল, আমি একে একে সাক্ষর করছি আর অল্পস্বল্প তার বিবিধ জিজ্ঞেস করছি। এই আলাপপর্ব আমি প্রায়শ করে থাকি।
-বাবা, তুমি কি নেশাটেশা কর?
-না, স্যার।
-রাত জাগো?
-জ্বী না স্যার।
ছেলেটির লিকলিকে শরীর আর কাগজপত্র, ছবি স্বাক্ষরের সময় যখন একটা একটা কাগজ টেনে নিচ্ছিল তখন খেয়াল করছিলাম ছেলেটির হাত ঈষৎ কাঁপছে। তাই ভণিতা না করে সরাসরি প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছিলাম।
-তাহলে তোমার এই অবস্থা কেন? দেখে তো সুস্থ স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না।
-(সলজ্জভঙ্গিতে উত্তর দিল) মেসে থাকি তো, খাওয়া-ঘুমের ঠিক নেই স্যার।
জিজ্ঞেস করলাম, টিউশনি কর কয়টা?
-তিনটা। এই মাসে আর একটা নিয়েছি।
-কত পাও সব মিলিয়ে?
- ছয়-সাত হাজার!
-টাকাগুলো দিয়ে কী কর?
-বাড়িতে পাঠাই কিছু, গ্রামে বাবা-মা আর ছোট একটা ভাই থাকে। বাকিটা মেস ভাড়া, মিল খরচ আর পড়াশোনার ব্যয় স্যার।
-বুঝলাম, তুমি তোমার খরচ চালিয়েও বাড়িতে টাকা পাঠাচ্ছো। কিন্তু তোমার স্বাস্থ্যের এই ভগ্নদশা কেন? খাওয়া-দাওয়া নিয়মিত কর না?
-করি স্যার। (ছেলেটি এবার কুঁকড়ে যায়) তবে সব-সময় খাওয়া হয় না। সকালে ভার্সিটিতে আসি, ক্লাস শেষ করে টিউশনিতে চলে যাই। মেসে ফিরতে ফিরতে রাত দশটা-এগারটা। টিউশনির বাসায় যে নাস্তা দেয় তাই দিয়ে দুপুরেরটা চালিয়ে নিই; অবশ্য কখনও-সখনও দেয়ও না। এভাবেই দিন চলে।
আমি গভীর এক দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। দুই সেট অনেকগুলো কাগজ স্বাক্ষর করতে করতে এক সময় মনে হল, কলম আর চলে না। আমি আর ওর দিকে তাকাতে পারছি না।
মাথাটা নিচু করে বললাম-
-মাঝে সাঝে খেতে না পারলে অন্তত মুড়ি খাবে। তবুও খালি পেটে থেকো না। মুড়ি খেয়ে কয়েক গ্লাস পানি খেয়ে নেবে। দেখবে শরীরে অনেক বল পাবে।
ছেলে এবার যা বলল, এর জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। খুব ক্ষীণকণ্ঠে হা করা মুখের দিকে হাতটা নিয়ে তর্জুনি দিয়ে মাড়ির দিকে নির্দেশ করে বলল-
-স্যার, গত কয়েকদিন ধরে মুড়িই খেয়ে আছি। এই মাসের মেস ভাড়া, মিল খরচের টাকা দিতে পারিনি। সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার টাকা আর গত মাসে বাড়িতে গিয়েছিলাম মাকে দেখতে; মা অনেকদিন ধরে পীড়াপীড়ি কান্নাকাটি করছিলো, অনেকদিন বাড়ি যাই না-বাড়ি যেতে অনেক ভাড়া আর খরচের ব্যাপার; ছোট ভাইটা অনেক আবদার করে রাখে; আব্বা অন্যের আমবাগানে কাজ করতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে কোমর ভেঙে বেশকিছু দিন শয্যাশায়ী। মা শুধু কাঁদে আমাকে এক নজর দেখবে, তাই গেলাম। অনেক খরচ হয়ে গেল গত মাসে।
আমি বাকরুদ্ধ, নিশ্চুপ হয়ে শুধু শুনছিলাম। গলাটা আমার ধরে আসছিল। এতক্ষণ ওকে আমার বানভণিতাহীন জিজ্ঞাসাকে বড় বাতুলতা মনে হল। স্বাক্ষর সমাপ্তে শুধু একটাই প্রশ্ন করলাম।
-এই যে এসআই পরীক্ষা দিতে খুলনা যাচ্ছো, ভাড়া আছে যাওয়ার?
জীবনের রূঢ়তায় কতটা অনিশ্চিত এই যাপন। ছেলেটা উত্তর দিল-
- না, নেই স্যার। যাব কি না মনস্থির করি নাই। দেখি, বন্ধু-বান্ধবদের কাছে ধার চাইব। যাওয়া-আসা এক হাজার টাকা হলেই হয়ে যাবে। কিন্তু জানি না ব্যবস্থা হবে কিনা! তবুও কাগজপত্র ঠিক করে রাখলাম।
এতক্ষণ দাঁড় করিয়ে রেখেছিলাম ওকে। বুঝতে পারছিলাম এই অর্ধবেলা পর্যন্ত ছেলেটির পেটে কোন দানাপানি পড়েনি। আমার লাঞ্চবক্সে দুইটা রুটি ছিল। দুজনে ভাগ করে খেলাম। ও খেতে চায়ইনি। এক প্রকার জোর করে বসালাম।
সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র শিক্ষক আমি, মানিব্যাগ সার্চ করে দেখি বেশি টাকা নাই। এক কলিগকে ফোন করে বললাম, এক হাজার টাকা ধার দিতে পারবে কিনা। বলল, পারবে। ছেলেটিকে নিয়ে আসতে পাঠালাম। নিয়ে আসলো। টাকা ওর হাতে দিয়ে বললাম, এই টাকা তোমাকে ধার হিসেবে দিলাম। চাকরি পেয়ে ফেরত দেবে।
প্রথমে নিতে খুবই আপত্তি করল। যখন দেখল, আমি সত্যি সত্যি ধার হিসেবে দিচ্ছি তখন আর দ্বিধা করল না।
আজ ফোন দিয়ে জানালো, সে প্রাথমিকভাবে এসআই বাছাই পরীক্ষায় নির্বাচিত হয়েছে। আমি আনন্দিত। ওর জন্য সবার দোয়া চাই। মহান সৃষ্টিকর্তা যেন ওর মনে আশা পূরণ করে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জীবন সংগ্রাম কাছে থেকে না দেখলে বোঝার কোন উপায় নেই। কত টাকা আমরা রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে ওয়েটারকে বখশিস দিয়ে আসি। অনেক অহেতুক খরচ করি।
প্লিজ, একটিবার আপনার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া প্রতিবেশী ছাত্রটির খবর নিন। তাকে সাহায্য নয়, ধার দিন। প্রয়োজনে লিখে রাখুন টাকার অংকটা, একদিন সে বহুগুণ ফেরত দেবে আপনাকে, জাতিকে।’
------------------------------------------------------------------------------
ড. শাহ মোঃ আরিফুল আবেদ সাহেবের ওয়াল থেকে নেয়া ।।
jahangirnagar university

jahangirnagar university

অনেকেই জানতে চেয়েছো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট কয়টা ইউনিট আছে?
ইউনিটগুলোর নাম কি কি? কোন কোন ইউনিটে কি কি সাবজেক্ট আছে? কোন ইউনিটে কোন গ্রুপের শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারে? পরীক্ষা পদ্ধতি কেমন ? কিভাবে প্রস্তুতি নিব ? তোমাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেখে নাও একসাথে ।
.
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ১০ টি ইউনিট আছে। যথাঃ A,B,C,C1,D,E,F,G,H,I ইউনিট =মোট ১০ টা ইউনিট। ইউনিটভিত্তিক সাবজেক্টগুলোর নাম সহ ইউনিটগুলোর নাম :
.
* A ইউনিট (গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ):-
A ইউনিটে মোট ৭ টি বিষয় রয়েছেঃ
১. কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
২. রসায়ন বিভাগ
৩. পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ
৪. গণিত বিভাগ
৫. পরিসংখ্যান বিভাগ
৬. পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ
৭. ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগ
.
* B ইউনিট (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ) :-
B ইউনিটে মোট ৬ টি বিষয় রয়েছেঃ
১) অর্থনীতি বিভাগ
২) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ
৩) সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
৪) লোকপ্রশাসন বিভাগ
৫) ভুগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ
৬) নৃবিজ্ঞান বিভাগ
.
* C ইউনিট ( কলা ও মানবিকী অনুষদ ) :-
C ইউনিটে ৭ টি বিষয় রয়েছে।
১) ইংরেজি
২) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক( IR )
৩) ইতিহাস
৪) দর্শন
৫) প্রত্নতত্ত্ব
৬) বাংলা
৭) জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ
.
* C1 ইউনিট ( নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ ও চারুকলা বিভাগ )

.
এই ইউনিটে দুইটি সাবজেক্ট রয়েছে
১) নাটক ও নাট্যতত্ত্ব
২) চারুকলা
.
* D ইউনিট (জীববিজ্ঞান অনুষদ) :-
D ইউনিটে মোট ৭ টি বিষয় রয়েছেঃ
১) ফার্মেসী বিভাগ
২) প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ
৩। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ
৪) বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারি বিভাগ
৫) পাবলিক হেলথ্ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগ
৬। প্রাণিবিদ্যা বিভাগ
৭) উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ
.
* E ইউনিট [ বিজনেস স্টাডিজ ফ্যাকাল্টি (BBA) ] :-
E ইউনিটে মোট ৪ টি বিষয় রয়েছেঃ
১) ফিন্যান্স & ব্যাংকিং বিভাগ
২। মার্কেটিং বিভাগ
৩। একাউন্টিং & ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগ
৪। ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ
.
* F ইউনিট ( আইন অনুষদ ) :-
F ইউনিটে একটা সাবজেক্ট আছে।
১) Law & Justice ( আইন ও বিচার )
.
* G Unit [ ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিষ্ট্রেশন (IBA) ] :-
.
IBA-BBA
.
* H ইউনিট [ ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশান টেকনোলজি (IIT) ] :-
H ইউনিটেও একটা সাবজেক্ট আছে।
১) আইটি ( IT )
.
* I Unit (বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট) :
.
I ইউনিটে ১ টা সবাজেক্ট
- বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য
.
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সব ইউনিটেই পরীক্ষা দেয়া যায়। কিন্তু ব্যবসায় শিক্ষা/মানবিক বিভাগ থেকে B,C,E,F,G, C1 , I -- এই ৭ টি ইউনিটে পরীক্ষা দেয়া যায়।
.
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এর ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিঃ
:
★ A,B,C,E,F,H,I ইউনিটে মোট ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে যার মধ্যে ৮০ নম্বরের MCQ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সময় ৫৫ মিনিট। তবে OMR পূরণের জন্য আলাদাভাবে ৫ মিনিট সময় দেয়া হবে। আর বাকি ২০ নম্বর থাকবে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্টের উপর। এসএসসি রেজাল্টকে ১.৫ দ্বারা গুণ করা হয়, এইচএসসি রেজাল্টকে ২.৫ দ্বারা গুণ করা হয় (চতুর্থ বিষয় সহ ) । অর্থাৎ সর্বমোট ১০০ নম্বর।
.
★ C1 ইউনিটে নাট্যতত্ত্ব ও চারুকলা বিভাগের জন্য ২০ নম্বরের ব্যবহারিক পরীক্ষা পরবর্তীতে নেয়া হবে যার পাশ মার্ক ৪০%। ]
.
★ G ইউনিটে মোট ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে যার মধ্যে ৭৫ নম্বরের MCQ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সময় ৫৫ মিনিট। তবে OMR পূরণের জন্য আলাদাভাবে ৫ মিনিট সময় দেয়া হবে। ৭৫ নম্বরের MCQ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের ৫ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা পরবর্তীতে নেয়া হবে যার পাশ মার্ক ৩৫%। আর বাকি ২০ নম্বর থাকবে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্টের উপর। অর্থাৎ সর্বমোট ১০০ নম্বর।